ভিভো বাজারে নিয়ে এলো অসাধারণ একটি ফোন। Vivo Y200 Full Review
আগামী নভেম্বর মাসেই দিব দুর্দান্ত একটি স্মার্ট ফোন লঞ্চ করতে চলেছে। টাইটেল দেখে অবশ্য বুঝে গেছেন তারপরও আমি বলছি এই ফোনটির মডেল হচ্ছে Vivo Y200 5G । ইতিমধ্যেই ভিভো তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে এই ফোনটির full Specifications সম্পর্কে জানিয়েছে। এবং এর একটি ডিজাইন প্রকাশ করেছে। সেই স্পিফিকেশন অনুযায়ী ফোনটি কেমন হতে চলেছে সে বিষয়ে আজকের এই ব্লক।
Vivo Y200 5G ফোনটিতে রয়েছে। কোয়ালকম স্ন্যাপ ড্রাগনের ফোর জিনের একটি প্রসেসর। এবং কোম্পানির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই ফোনটি মাত্র একটি ভেরিয়েন্ট 8 gb ভেরিয়ান্টে পাওয়া যাবে। হয়তো এই ফোনটির আরো কিছু ভেরিয়েন্ট পাওয়া যেতে পারে যেমন ফোর জিবি র্যামওয়ালা বা সিক্স জিবি র্যামওয়ালা যেহেতু কি কি ভেরিয়েন্ট নিয়ে এই Vivo Y200 5G ফোনটি লঞ্চ হবে সে বিষয়ে কমপ্লিট কোন তথ্য দেয়নি সেহেতু আপাতত ধরে নিলাম এই ফোনটি শুধুমাত্র এইট জিবি ভেরিয়েন্টে পাওয়া যাবে।
আসুন এবার ক্যামেরা সম্পর্কে একটু জেনে নেওয়া যাক, কোম্পানির তথ্য অনুযায়ী এই ফোনটির রেয়ার ক্যামেরা হিসেবে থাকবে ৬৪ মেগাপিক্সেলের একটি মেইন সেন্সর এবং টু মেগাপিক্সেলের একটি ডেপ্থ সেন্সর। এবং সামনের ক্যামেরা অর্থাৎ সেলফি ক্যামেরা হিসেবে থাকছে ১৬ মেগাপিক্সেল। এই ফোনটি ডিসপ্লে পেয়ে যাবেন 6.67 ইঞ্চি। দিব জানিয়েছে আগামী নভেম্বর মাসের ১০ তারিখে এই ফোনটি আনঅফিসিয়ালি লঞ্চ করা হবে।
এই ফোনটির অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে থাকছে অ্যান্ড্রয়েড ভার্সন ১৩। তবে এই থার্টিন এর পরবর্তী ভার্সনগুলো কতদিন পর্যন্ত আপডেট করা যাবে সে বিষয়ে কোন তথ্য দেয়নি ভিভো।
Vivo Y200 5G ফোনটির প্রসেসর হিসেবে থাকছে Octa core (2 GHz, Dual core, Kryo + 1.8 GHz, Hexa Core, Kryo)। এছাড়া এই ফোনটির গ্রাফিক্স হিসেবে থাকছে Adreno 619। আমি হয়তো একটা বিষয় স্কিপ করে গেছি সেটা হচ্ছে ডিসপ্লে যদি ডিসপ্লে সম্পর্কে বলতে চাই এই ফোনটির ডিসপ্লে হিসেবে পাবেন 6.67 ইঞ্চির একটি অ্যামোলেড ডিসপ্লে যেটি ফুল এইচডি এবং পিক্সেল ডেন্সিটি হচ্ছে ৩৯৫ পিপিআই এছাড়া ১২০ হারস রিফ্রেষ্টের তো রয়েছেই।
তবে এই ফন্টের ব্যাটারি আমাকে কিছুটা হতাশ করেছে কারণ এই ফোনটিতে ব্যাটারি হিসেবে পাবেন লিথিয়াম পলিমারের ৪৮০০ মেগাহার্জ ব্যাটারি। আমার মতে ফোনটিতে ন্যূনতম 5000mh এর ব্যাটারি ইনক্লুড করা হলে দুর্দান্ত হতো। তবে চার্জারের দিক থেকে আমি স্যাটিস্ফাইড কারণ ৪৮ মেগাহার্জ এর এই ব্যাটারীতে চার্জ করতে ৪৪ ওয়াটের একটি ফাস্ট চার্জার দেওয়া হয়েছে। যাইহোক, আমি আপনাদেরকে রাম এইট জিবি এটা তো বললাম পাশাপাশি এই ফোনটিতে ১২৮ জিবি ইন্টার্নাল স্টোরেজ পাবেন সেই সাথে আপনি চাইলে এই ফোনটিতে সর্বোচ্চ এক টেরাবাইট পর্যন্ত স্টোরেজ ব্যবহার করতে পারবেন।
নেটওয়ার্ক বলতে গেলে বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ৫জি সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। বিভোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এই ফোনটি সম্পর্কে এতোটুকুই জানা সম্ভব হয়েছে। ফোনটি মার্কেটে লঞ্চ হওয়ার পরে Vivo Y200 5G সম্পর্কে বিস্তারিত রিভিউ নিয়ে আসার চেষ্টা করব। সেখানে আমরা Vivo Y200 5G ফোনটির পারফরমেন্স টেস্ট এবং Vivo Y200 5G ফোনটি দাম অনুযায়ী কেমন হবে সেই সকল বিষয়ে আলোচনা করব। এই ফোনটি সম্পর্কে বিস্তারিত আরও তথ্য যদি আপনার জানার প্রয়োজন হয় সেক্ষেত্রে ভিভোর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট ভিজিট করার অনুরোধ থাকবে।